আঃ রাজ্জাক খান

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক এবং চলচ্চিত্র অভিনেতা রাজ্জাক নামে দুজন ব্যক্তি বিদ্যমান। এই লেখাটি তাদের সম্পর্কে তথ্য দিয়ে তাদের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট করবে।

অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক:

আব্দুর রাজ্জাক (১৯১৪ - ২৮ নভেম্বর, ১৯৯৯) ছিলেন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং বুদ্ধিজীবী। তিনি প্রাচ্যতত্ত্ব, ইতিহাস ও রাজনীতিতে বিশেষ দক্ষ ছিলেন এবং 'শিক্ষকদের শিক্ষক' হিসেবে পরিচিত ছিলেন। শেখ মুজিবুর রহমানসহ অনেক রাজনৈতিক নেতাও তার অনুগামী ছিলেন। ১৯৭৩ সালে ভারতের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন এবং ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে মনোনীত করে। তিনি ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার পাড়াগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক অর্থনীতি বিভাগে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেন। তাঁর অসাধারণ জ্ঞান ও প্রজ্ঞার জন্য তিনি কিংবদন্তির খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।

চলচ্চিত্র অভিনেতা রাজ্জাক:

আব্দুর রাজ্জাক (২৩শে জানুয়ারি ১৯৪২ - ২১শে আগস্ট ২০১৭), বাংলাদেশের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা, যিনি ‘নায়করাজ রাজ্জাক’ নামে সুপরিচিত। তিনি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৬৬ সালে ‘১৩ নম্বর ফেকু ওস্তাগার লেন’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। জহির রায়হানের ‘বেহুলা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি বিখ্যাতি লাভ করেন। তিনি ৩০০ টিরও বেশি বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং ১৬ টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য তিনি স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ৫ বার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান এবং ২০১৩ সালে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার পান। ২০১৭ সালে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং বুদ্ধিজীবী।
  • তিনি প্রাচ্যতত্ত্ব, ইতিহাস ও রাজনীতিতে বিশেষ দক্ষ ছিলেন।
  • ১৯৭৫ সালে তাকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে মনোনীত করা হয়।
  • নায়করাজ রাজ্জাক ছিলেন বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা।
  • তিনি ৩০০ টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং ১৬ টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন।
  • তিনি ২০১৫ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - আঃ রাজ্জাক খান

আঃ রাজ্জাক খান মেহেন্দিগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি হিসেবে বক্তব্য দেন।