অস্ট্রিয়া

অস্ট্রিয়া: ইউরোপের হৃদয়ে অবস্থিত একটি স্থলবেষ্টিত দেশ, যা এর সমৃদ্ধ ইতিহাস, অসাধারণ সংস্কৃতি, এবং মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। ৯টি ফেডারেল রাজ্য নিয়ে গঠিত এই সংসদীয় গণতন্ত্রটির রাজধানী ভিয়েনা, যা একসময় হাবসবুর্গ সাম্রাজ্যের রাজকীয় রাজধানী ছিল। আল্পস পর্বতমালায় অবস্থিত অস্ট্রিয়ার তিন-চতুর্থাংশ এলাকাই পর্বতময়। দেশটির অর্থনীতি রপ্তানি ও পর্যটন শিল্পের উপর নির্ভরশীল।

ঐতিহাসিকভাবে, অস্ট্রিয়া হাবসবুর্গ রাজবংশের শাসনের অধীনে একটি বিশাল ও শক্তিশালী সাম্রাজ্যের কেন্দ্রস্থল ছিল। ১৯১৪-১৯১৮ সালের প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সাম্রাজ্যটি ভেঙে যায় এবং অস্ট্রিয়া একটি ক্ষুদ্র স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্রে পরিণত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির দখলের পর ১৯৫৫ সালে অস্ট্রিয়া স্বাধীনতা লাভ করে এবং এরপর থেকে দেশটি অভাবনীয় অর্থনৈতিক উন্নতি সাধন করেছে।

অস্ট্রিয়ার সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। ভিয়েনা শহর এর বারোক স্থাপত্য, সঙ্গীত ও নাট্যকলায় বিশ্ববিখ্যাত। বিখ্যাত সুরকার যেমন মোৎসার্ট, হায়দেন, বীথোভেন, শুবার্ট প্রমুখ অস্ট্রিয়ার সাথেই জড়িত। অস্ট্রিয়ার অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং স্কি রিসোর্ট পর্যটকদের আকর্ষণ করে।

জনসংখ্যার দিক থেকে অস্ট্রিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি মাঝারি আকারের দেশ। জনসংখ্যা প্রধানত জার্মান ভাষাভাষী। তবে ক্রোয়েশীয়, স্লোভেনীয়, হাঙ্গেরীয়, চেক, স্লোভাক প্রভৃতি সংখ্যালঘু ভাষাও এখানে প্রচলিত। অস্ট্রিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য এবং জাতিসংঘেরও সদস্য। অস্ট্রিয়ার অর্থনীতি উন্নত ও সমৃদ্ধ। দেশটিতে সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ উন্নত।

মূল তথ্যাবলী:

  • অস্ট্রিয়া ইউরোপের হৃদয়ে অবস্থিত একটি স্থলবেষ্টিত দেশ।
  • ভিয়েনা অস্ট্রিয়ার রাজধানী এবং একসময় হাবসবুর্গ সাম্রাজ্যের কেন্দ্রস্থল ছিল।
  • আল্পস পর্বতমালা অস্ট্রিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মূল আকর্ষণ।
  • অস্ট্রিয়ার অর্থনীতি রপ্তানি ও পর্যটনের উপর নির্ভরশীল।
  • অস্ট্রিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের সদস্য।

গণমাধ্যমে - অস্ট্রিয়া