অজিত পাওয়ার

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৪:৩৭ এএম

অজিত অ난্তরাও পাওয়ার (জন্ম: ২২ জুলাই ১৯৫৯) একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বারবার এই পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন বিভিন্ন সরকারে। তিনি প্রথমবার ১৯৯১ সালে বারামতি লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি বারামতি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বহুবার বিধায়ক নির্বাচিত হন। তার কাকা শরদ পাওয়ার, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) সভাপতি এবং মহারাষ্ট্রের চারবারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। অজিত পাওয়ার তাঁর কাকার রাজনৈতিক পদচিহ্নে হেঁটে ১৯৮২ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। পরবর্তীতে তিনি পুনে জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং ১৬ বছর ধরে এই পদে ছিলেন। তিনি মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন সরকারে বিভিন্ন মন্ত্রীপদেও দায়িত্ব পালন করেছেন, যেমন- কৃষি ও বিদ্যুৎ দফতর, মাটি সংরক্ষণ, বিদ্যুৎ ও পরিকল্পনা দফতর, সেচ দফতর এবং গ্রামীণ উন্নয়ন দফতর। ২০১৯ সালে তিনি এনসিপি থেকে বিজেপির সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী হন, কিন্তু স্বল্পকালীন এই সরকার পতন হলে তাঁকে ইস্তফা দিতে হয়। পরবর্তীতে তিনি আবার এনসিপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তবে ২০২৩ সালে এনসিপিতে আবার বিভক্তি হলে তিনি আবার বিজেপির সঙ্গে যোগ দেন এবং ২০২৪ সালে ফের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হন। অজিত পাওয়ারের উপর বেনামী সম্পত্তি অধিকরণের অভিযোগ রয়েছে, যদিও তা প্রমাণিত হয়নি। তিনি লাভাসা প্রকল্পের উন্নয়নে সহায়তা করার অভিযোগেও জড়িত ছিলেন। ২০২৩ সালে তিনি এনসিপির একটি ভাগের নেতৃত্ব নিয়ে শরদ পাওয়ারের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং নাম ও প্রতীকও পেয়ে যান।

মূল তথ্যাবলী:

  • অজিত পাওয়ার মহারাষ্ট্রের বহুবারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী।
  • তিনি ১৯৯১ সালে লোকসভায় নির্বাচিত হন।
  • তিনি বারামতি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বহুবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন।
  • তার কাকা শরদ পাওয়ার মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
  • তিনি এনসিপির বিভিন্ন সরকারে মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
  • তার উপর বেনামী সম্পত্তি অধিকরণের অভিযোগ রয়েছে।
  • তিনি লাভাসা প্রকল্পের উন্নয়নে সহায়তা করার অভিযোগে জড়িত ছিলেন।
  • ২০২৩ সালে তিনি এনসিপির একটি ভাগের নেতৃত্ব নিয়েছেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।